‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে শালবন বিহারে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন’

পরিদর্শনকালে সাদা শার্টে ছবির বামে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হান্নান মিয়াকুমিল্লার ময়নামতির শালবন বিহারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হান্নান মিয়া। তিনি বলেন, ‘শালবন বিহার এখনও আন্তর্জাতিক মানের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে মর্যাদা লাভ করতে পারেনি। মহাস্থানগড় এবং শালবন বিহার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। এসব প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজন।’

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার এবং ময়নামতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে  তিনি এই কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে। এই সংকট মিটিয়ে কুমিল্লার  লতিকোট মুড়া, ইটাখোলা মুড়া ও রূপবান মুড়া, রাণীর কুটির এবং লাকসামের নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণীর বাড়ি সংরক্ষণ এবং সংস্কারে বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। কারণ এই স্থানগুলো আলোচিত এবং জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও জানান, ‘বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শচীন দেব বর্মণের বাড়িতে জাদুঘর নির্মাণে আবেদন করা হয়েছে। সেটি বাস্তবায়নেও কাজ চলছে।’

পরিদর্শনকাল উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের প্রাক্তন আঞ্চলিক পরিচালক মোশারেফ হোসেন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান, ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক রাখী রায়, সহকারী স্থপতি খন্দকার মাহফুজ আলম, ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের কাস্টোডিয়ান  হাফিজুর রহমান।