বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় নজরুল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার তার করণীয় সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, যাতে করে কোনোরকম সংক্রমণ ঘটলে আমরা যেন সঙ্গে সঙ্গে পরিপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে পারি। তা যেন ছড়িয়ে না যায়। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে যারা দেশে আসছেন তাদেরকে পরীক্ষা না করে দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে কোয়ারেন্টাইন করা প্রয়োজন সেখানে তা করা হচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে নজরুলের প্রভাব অনেক। বাংলার এমন কোনও দিক নেই যেখানে নজরুল তার ছাপ রেখে যাননি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও নজরুলের অনেক ভূমিকা ছিল। তার রচিত গানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। যতদিন বাংলা থাকবে, বাঙালি থাকবে, ততদিন নজরুল থাকবে দোর্দণ্ড প্রতাপে।’
দীপু মনি বলেন, ‘নজরুল এ পৃথিবীতে ধর্ম-জাত, নারী-পুরুষ, ধনি-গরীব নিয়ে যত ধরনের বিদ্বেষ আছে, যত রকম পার্থক্য সমাজ তৈরি করে সেগুলোর বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। নজরুলের ভক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। নজরুলের গান, কবিতা প্রায়শই তিনি গাইতেন। গানের সঙ্গে গলা মেলাতেন। তার ভরাট গলায় কবিতা আবৃত্তি করতেন।’
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট্য ছড়াকার-শিশুসাহিত্যিক সাবেক সচিব ফারুক হোসেন, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূঞা, প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।