নিহত ফয়সাল হোমনা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
জলুল করিম জানান, হোমনার রাজনগর গ্রামের ফয়সাল (২২) একই গ্রামের ফুল মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম নিবেদনসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ফয়সাল লেখাপড়া পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত করেছে। এ কারণে ওই পরিবার তাকে মেনে নেয়নি। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মাঝে বেশ কিছুদিন ধরে মতবিরোধ চলে আসছে। এদিকে, গত ৫ জুন ফয়সাল নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। গত ৭ জুন হোমনা থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে ১৩ জুন অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নির্দেশে হোমনা থানার পাশাপাশি মামলাটি ছায়া তদন্তে নামে ডিবির এলআইসি টিম। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানী ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে ঘাতক শামীমকে গ্রেফতারের পরই বেরিয়ে আসে যুবককে হত্যাকাণ্ডের তথ্য।
উদ্ধার অভিযানে হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম, জেলা ডিবির ওসি মো. আনোয়ারুল আজিম, হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ, ডিবির এসআই পরিমল চন্দ্রসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্ধার অভিযান শেষে হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৫ জুন ফয়সালকে কৌশলে নির্মাণাধীন ওই ভবনে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে মাটি চাপা দিয়ে সে আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক শামীম জানায়, ফয়সাল প্রায় সময় তার বোনকে উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যা করেছে সে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি-না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’