নিহত আকরাম হোসেন একই উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—এএসআই লোকেন মহাজন, কনস্টেবল জিয়া ও কনস্টেবল এমরান।
ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনবাগের আলোচিত প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি পলাতক আকরাম হোসেনকে গ্রেফতার করতে আমি ফোর্সসহ অভিযানে যাই। এ সময় উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর গ্রামে পৌঁছালে আকরাম ও তার সহযোগীরা অতর্কিতে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে, আকরাম হোসেনের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আকরাম হোসেনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও জানান, এ সময় এএসআই লোকেন মহাজন, কনস্টেবল জিয়া ও এমরান আহত হন। কারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের লাশ বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন উপজেলার অর্জুনতলা গ্রামের এক প্রতিবন্ধীকে আকরাম হোসেনসহ ১০ বখাটে দুপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পাশের কবরস্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ১১ জুন রাতে মা হোসেনে আরা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে এই ঘটনায় সেনবাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।