প্রথমে দাবি স্ট্রোকে মৃত্যু, পরে বললো আত্মহত্যা

গৃহবধূ লিপি



কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ আগস্ট) রাত ৯টায় মনোহরগঞ্জ উপজেলার কৈয়ারপাড়া গ্রাম থেকে লিপি আক্তার (২৫) নামে দুই সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে লিপির বিয়ে হয় কৈয়ারপাড়া ভূঁইয়া বাড়ির খুরশিদ আলমের ছেলে মুদি দোকানি দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তাদের তিন বছর ও দশ মাস বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।

লিপির পরিবারের অভিযোগ, স্বামী আর শ্বশুর মিলে তাদের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করতে পারে। 
লিপির বড় ভাই সাদ্দাম জানান, এবারের ঈদে লিপি শ্বশুর বাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। সোমবার সকালে লিপি জানায় তার স্বামী তাকে যেতে দিচ্ছে না। বিকালে তার স্বামী আমাদেরকে মোবাইলে খবর দেয় লিপি স্ট্রোক করেছে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমরা তাদের বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখি বোনকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। আমরা মুখ দেখতে গিয়ে স্থানীয়দের কথা শুনে কাপড় সরিয়ে গলায় দাগ দেখতে পাই। তখন তার শ্বশুর ও স্বামী জানায় লিপি আত্মহত্যা করেছে। আমাদের সন্দেহ হলে আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে বোনের শ্বশুর ও স্বামী আমাদেরকে মারধর করে। আমরা রক্ষা পেতে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ আমাদেরকে এবং আমার বোনের মরদেহ নাথারপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।      
নাথারপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ি’র এসআই নূরুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সকালে মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর গলায় ওড়না ও রশি পেছানোর দাগ রয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে মেয়ের বাবা ইদ্রিছ।