জামিন পেলেন সিফাত, মামলার তদন্ত ভার পেলো র‍্যাব

শাহেদুল ইসলাম সিফাত

জামিন পেয়েছেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির আরেক শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম সিফাত। সোমবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন। বিবাদী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিফাতের মামলাটি আদালত তদন্তের ভার র‌্যাবকে দিয়েছে।

শুনানি শেষে সিফাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা ও মাহবুবুল আলম টিপু যৌথ প্রেস ব্রিফিং করেন। তারা জানান, সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের করা দুটি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা বন্ডে সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। মামলার তদন্ত ভার র‍্যাবকে দেওয়া হয়েছে। 

রামু থানায় করা অপর একটি মামলায় রবিবার (৯ আগস্ট) স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শিপ্রা দেব নাথ জামিনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। 

৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। এই রাতেই সিফাত ও শিপ্রাকে আটক করা হয়েছিল।
বুধবার (৫ আগস্ট) মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ  জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে প্রধান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এতে র‌্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৪ জন আসামিকে ২ দিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি ২ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।