ঘাতক বাদল মিয়া কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার খোদে দাউদপুর গ্রামের মরহুম আবদুর রবের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ ঘাতক বাদল মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইনের আদালতে হাজির করলে সে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে পুলিশ গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে। সে পুলিশের কাছেও ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলাকেটে খুন করার কথা স্বীকার করে।
বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে এবং গত বুধবার রাতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, মাগরিবের আজানের পরও ছেলে কামরুল ঘরে না ফেরায় কন্যা শিফা আক্তারকে ঘরে রেখে কামাল হোসেন তার স্ত্রী হাসিনা বেগমকে নিয়ে কামরুলকে খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হন। পরে শিফা আক্তার ঘর ঝাড়ু দেওয়ার জন্য মামা বাদল মিয়ার রুমে ঢুকে খাটের নিচে কামরুলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। পরে বাদল মিয়া শিফা আক্তারকে জোরপূর্বক গোসল খানায় নিয়ে ছুরি দিয়ে জবাই করে একই কায়দায় লাশ চাদর দিয়ে ঢেকে পাশের রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। এদিকে কামরুলকে না পেয়ে তার বাবা ও মা এলাকায় মাইকিং করিয়ে বাড়িতে এসে দেখেন শিফাও নেই। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খাটের নিচে তাদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতদের পিতা কামাল হোসেন বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রেফতারকৃত বাদল মিয়া আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।