শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সকালে ভুক্তভোগীর মাথা ন্যাড়া করা হয়। এর আগে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ধরে নিয়ে রাতভর নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল আহমদসহ চার জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর বোন।
ভুক্তভোগীর বোন বলেন, ‘স্থানীয় সামশুল আলমের ছেলে জালাল আহমদ বিনা অপরাধে আমার ভাইকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। জালালের সন্দেহ আমার ভাই মানবপাচার ও ইয়াবা কারবারের খবর পুলিশকে জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমার ভাইকে সারারাত বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এছাড়া কোদাল দিয়ে মাথা ন্যাড়া করার নামে মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায় আমার ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সকালে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ রফিক ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার আমার ভাই খুবই অসুস্থ। তাকে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার নাক এবং মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’
মুঠোফোনে অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, ‘এলাকায় যাতে আর কোনও সময় গরু চুরির মতো ঘটনা না ঘটে, পুরো এলাকাবাসীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে।’
উখিয়া থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ‘আমি মাত্র থানায় যোগদান করেছি। অভিযোগটি আমার কাছে এখনও আসেনি। এ রকম অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’