অভিযোগে বলা হয়, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে পানছড়ি উপজেলায় পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৬টি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ৫টি বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত কাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। নিম্ন দরের দরপত্রে কাজ পাওয়ার পরও তা আবার বাতিল করে স্থানীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে অন্য ঠিকাদারদের তা আবার ৫ শতাংশ উচ্চ দরে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এতে প্রতিটি স্কুল নির্মাণ বাবদ ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় উপজেলা প্রকৌশলী। একইভাবে ৫টি বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ১০ শতাংশ উচ্চ দরে কার্যাদেশ দিয়ে ঘুষ হিসেবে ১০ লাখ টাকা উপজেলা প্রকৌশলীর পকেটে যায়।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘নিম্ন দরের কাজ উচ্চ দরে করার আদেশ দিলে এ সংক্রান্ত সভা করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। এতে সরকারি কোষাগারের বিপুল অর্থ গচ্চা যাচ্ছে। এছাড়া টেন্ডার প্রক্রিয়ায় উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুর রহমানকে সদস্য সচিব হিসেবে দেখানো হয়েছে, অথচ তিনি চার বছর আগে পানছড়ি থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী এক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব অনিয়ম করে যাচ্ছে উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাস। নিম্ন দরের কাজ উচ্চ দরে করার আদেশ দেওয়ার কারণে সরকারি অর্থ নয়ছয় হচ্ছে।’
স্থানীয় ঠিকাদার ও পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন জানান, উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাস দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সরকারি অর্থের অপচয় করেছেন। সম্প্রতি স্কুল ভবন নির্মাণ ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দরপত্র নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। নিম্ন দরের একটি কাজ আরও ১০ শতাংশ বেশি দিয়ে এক ঠিকাদারকে করার আদেশ দিয়েছেন। এতে সরকারি বিপুল অর্থ গচ্চা যাবে।
দরপত্রে অনিয়ম ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাস বলেন, ‘এসব কিছু আমি করিনি। যা হয়েছে তা অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে।’
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলীর অনিয়মের দায় অধিদফতর নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর খাগড়াছড়ি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলী। তিনি বলেন, ‘পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী বিরুদ্ধে বেশ কিছু লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এসব বিষয় তদন্ত করে দেখার জন্য সিনিয়র এক প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনও অনিয়ম বেরিয়ে এলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’