বেগমগঞ্জের ঘটনায় এক আসামির আত্মসমর্পণ, মোট গ্রেফতার ১২

নোয়াখালীনোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একলাশপুর ইউনিয়নে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার চার নম্বর আসামি ইস্রাফিল হোসেন ওরফে মিয়া (২২) আজ বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে সাত জন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হলো। ইস্রাফিল হোসেন ওরফে মিয়া মধ্য একলাশপুর গ্রামের মোহর আলী মুন্সী বাড়ির আমিন উল্যার ছেলে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী বলেন, ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা ইস্রাফিল বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই নম্বর আমলী আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তিনি আরও জানান,  ইস্রাফিলের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তী তারিখে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ওই গৃহবধূর দায়ের করা মামলা দুটি পিবিআই তদন্ত করছে। গৃহবধূর করা ধর্ষণ, র‌্যাবের করা বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলা তিনটি বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনার ৩২ দিন পর নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে সেদিনই এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়।

ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, পায়ে ধরেন। কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখন্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।