'দল থেকে বহিষ্কার হলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি ছাড়বো না'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন মাদকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেটা আমাদের নেতারা কার্যকর করেনি, প্রশাসন কার্যকর করেনি। আপনি এই সিদ্ধান্ত দেন যে মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা দলের কোনও পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না।’

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার জামাইরটেকে নির্বাচনি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি ছেড়ে যাবো না।’

একজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এর সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, ‘ওই উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষমতায় থাকাকালে চর বালুয়ায় হাজার হাজার একর জমি দখল করেছে। মাদকের ব্যবসা করেছে। কোম্পানীগঞ্জের বড় কাজগুলো নোয়াখালীর নেতারা দিয়েছে, সে করেছে। আরেকজন আছে আমার ভাগনে রাহাত, আমাদের রক্তের নয়। সে বদির সঙ্গেও দেখা করেছে। সে সরকারি জায়গা দখল করে ভবন করেছে। আমি সেনাবাহিনী নিয়ে ভাঙতে গেছি, সে আমার দিকে চোখ রাঙিয়েছে, কারণ তার কাছে অস্ত্র আছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি যখন নোয়াখালীর অপরাজনীতি, ফেনীর অপরাজনীতি এবং সন্দ্বীপের এমপি, যিনি আমার এলাকার হাজার হাজার একর জমি দখল করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি, যখন প্রশাসনের অনিয়মের কথা বলি, যখন ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে কথা বলি, তখন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আজকে জাতীয় পর্যায় থেকে।’

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে নির্বচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে আবদুল কাদের মির্জার দেওয়া বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। এসব বক্তব্যে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন ও জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি যথাযথভাবে করার দাবি জানান। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধেও সরব হন। জেলায় নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি নিয়েও কথা বলেন। পরে অবশ্য মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে তার স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমকে পাঠানো হয়। এতে তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও গণমাধ্যম বক্তব্য বিস্তারিত উল্লেখ না করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বক্তব্যের খণ্ড অংশ বিশেষ প্রচার করেছে। আমি শুধুমাত্র বৃহত্তর নোয়াখালীর আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে নানা অনিয়মের কথা বলেছিলাম। জাতীয় ইস্যুতে কোনও বক্তব্য রাখিনি।’

আরও পড়ুন: কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই: ভাইয়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের