ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাষা শহীদদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

বিনম্র শ্রদ্ধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর গার্ড অব অনারের মাধ্যমে এক মিনিট নীরবতা পালন করে ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

এ আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহীদ মিনারটি উন্মুক্ত করা দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও প্রতিনিধিরা শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।  

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ২১ মানে মাথা নত না করা, ২১ মানে আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণা। এই চেতনা ধারণ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই ২১শের হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌমত্ব লাভ করেছে। যেদিন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদে দাফতরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাখার প্রস্তাব করেছিলেন, সে প্রস্তাব অগ্রাহ্য হওয়ার পর থেকেই তখনকার তুখোড় ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তার পথ ধরেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই বাংলাদেশের সকল কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষার প্রাধান্য আছে। আমার বিশ্বাস এটি আরও বিস্তার লাভ করবে। আমরা সকলে মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে বাংলা ভাষাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। আর অন্য যে কোনও ভাষা প্রয়োজনের তাগিদে আমরা শিখবো। এতে অসুবিধার কিছু নেই।

এদিকে ভাষা শহীদের মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে র‍্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

সকাল থেকে আবারও শহীদ মিনার সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে জন সমাগম স্থান হওয়ায় সকালে সবাইকে মাস্ক পরে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে।