উপজেলা আ.লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে (৭০) বসুরহাটের রূপালী চত্বরের পাশে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৮ মার্চ) বিকাল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও আরেক ছোটভাই সাহদাত হোসেনের বিরুদ্ধে মারধরের এই অভিযোগ।

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। সোমবার বিকাল ৫টায় খিজির হায়াত খান কয়েকজন অনুসারী নিয়ে রূপালী চত্বরে যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশের একটি কক্ষে বসেন। হঠাৎ আবদুল কাদের মির্জা, তার ছোটভাই সাহদাত হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন খিজির হায়াত খান ও উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় খিজির হায়াতসহ ৫-৬ জন আহত হন। একপর্যায়ে তাকে কক্ষ থেকে টেনে বের করে এনে কিল, ঘুষি ও লাথি মারা হয় এবং গায়ের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ ব্যাপারে খিজির হায়াত খান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মির্জা কাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তালা মেরে দেন। যে কারণে আজ আমি নিজের দোকানে বসেছিলাম। হঠাৎ করে কাদের মির্জা এবং তার ছোটভাই সাহদাতের নেতৃত্বে শতাধিক লোক আমার ওপর অতর্কিতে হামলা করে। আমি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। এ সময় আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে কোনোপ্রকার সহযোগিতা করেনি।’

কাদের মির্জার ছোটভাই সাহদাত হোসেন বলেন, ‘খিজির হায়াত খান নিজের পাঞ্জাবি নিজেই ছিঁড়ে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।’ 

এ ব্যাপারে জানতে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে অন্য এক ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ফোন ধরে দাবি করেন, কাদের মির্জা কাউকে মারধর করেননি। 

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’