চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী ইমন হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী ইমন হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার। সোমবার (৯ মার্চ) রাতে নিহত ইমনের বাবা নুর কাশেম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি প্রিটন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে নাম উল্লেখপূর্বক আসামি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রিটন সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইমন হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে তার বাবা নুর কাশেম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে নাম উল্লেখপূর্বক আসামি করা হয়। এছাড়া ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা ছয় জনকে আটক করেছি। তাদেরকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। গ্রেফতার ছয় জন হলেন মো. আহসান কবির (২৬), মো. ফজর আলী (২৯), মো. লিটন (২৮), মো. সোহেল (২৯), মো. নুর আলম ওরফে কালু (২৭), মো. রুবেল (২৫)।

রবিবার (৭ মার্চ) রাতে বায়েজিদের আরেফিন নগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন নিহত হন। ওই দিন সন্ধ্যায় নিহত ইমনের ছোট ভাইকে মারধরের জের ধরে রাতে আরেফিন নগর মুক্তিযোদ্ধা কলোনি এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এসময় হামলাকারীরা ইমনকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত ইমনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ইমন প্রবাসী যুবলীগ নেতা এস এম শফিকুল ইসলাম শফির অনুসারী। হামলাকারীরা পলিটেকনিক এলাকার যুবলীগ নেতা আবু মহিউদ্দিনের অনুসারী।