কাদের মির্জার ৬ কর্মী আটক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ৬ কর্মীকে শুক্রবার (১২ জুন) বিকালে বসুরহাট পৌর এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। তবে কাদের মির্জা দাবি করেন, তার মোট ৯ জন কর্মীকে বিকালে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন—ইকবাল চৌধুরী (৪৭), আবদুল মালেক (৪৪), ইউসুফ নবী (৪২), মো. মহিউদ্দিন (৪০), জাকের হোসেন সাহাবউদ্দিন (৩৬) ও আবুল খায়ের বিপুল (৩০)। তবে, বাকি ৩ জনের নাম আবদুল কাদের মির্জা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, পুলিশ মঙ্গলবার বিকালে বসুরহাট পৌর এলাকা থেকে ৬ জনকে আটক করেছে।  

কাদের মির্জা সাংবাদিকদের বলেন, ‌'আমার ৯ কর্মীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাতের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগের দিন গ্রেফতার হন আরও ২৮ জন।

উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে গত মঙ্গলবারের (৯ মার্চ) সংঘর্ষের ঘটনায় আলাউদ্দিন (৩২) নামে একজন নিহত হন। তিনি চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের মমিন উল্যাহর ছেলে। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত ৩০ জন।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারিও এই দুই দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দু’দলের মাঝখানে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ ১৫ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বিবদমান পক্ষ দুটি পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করে।