পটিয়া থানা ভাঙচুরের অভিযোগে ৫ হেফাজত কর্মী গ্রেফতার

থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের ৫ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাতভর পটিয়া উপজেলার জিরি, শোভনদন্ডী ও কচুয়াই ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার।

গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- জসীম উদ্দিন (৪২), খোরশেদ আলম (৪৫), ইমতিয়াজ হোসেন (৪০), আজিজুল ইসলাম (৪৫) ও মো. বেলাল (৩৫)। গ্রেফতারদের শনিবার (১০ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রেজাউল করিম মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত ২৬ মার্চ থানায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের মামলায় ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর প্রতিবাদে ওইদিন দুপুরে হেফাজতে ইসলামের মূলকেন্দ্র হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে মিছিল বের করে হেফাজত নেতাকর্মীরা। মিছিলকারীরা হাটহাজারী থানায় ভাঙচুর করে। স্থানীয় ভূমি অফিস এবং সরকারি ডাকবাংলোর ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে চার হেফাজত নেতাকর্মী নিহত হন। এর প্রতিবাদে ঘটনার পরপরই পটিয়া উপজেলার আল জামেয়া আল ইসলামিয়া জমিরিয়া নামে একটি কওমি মাদরাসার ছাত্ররা মিছিল বের করে। মিছিল থেকে তারা পটিয়া থানায় হামলা করে এবং একঘণ্টা ধরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।