ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডব

জেলা পরিষদের ক্ষতি পাঁচ কোটি টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চে সংঘটিত হেফাজতে ইসলাম ও সুবিধাবাদীদের তাণ্ডবের সময় জেলা পরিষদের প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি  হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এ দাবি করেন।

শফিকুল আলম জানান, ২৬ মার্চ বিকেলে চার থেকে পাঁচশ মাদ্রাসা ছাত্র পৌর এলাকার কাউতলীস্থ জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে হানা দেয়। তারা ডাক বাংলোতে হামলার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় কর্তব্যরত তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোনোরকমে আত্মরক্ষা করেন। লাফিয়ে পড়ে আহত হন একজন শ্রমিক। আগুন নেভাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ফোন করা হলেও তারা কর্ণপাত না করায় রাত একটা বেজে যায় আগুন নেভাতে। ডাকবাংলোতে যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে ৪৯ লাখ টাকা দরকার পড়বে।

তিনি আরও জানান ‘গত  ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতাল চলাকালে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় লাফিয়ে পড়ে কিছু সংখ্যক কর্মচারী আহত হন। তাণ্ডবে সব মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এসব রক্ষণাবেক্ষণ কাজে প্রায় দুই কোটি টাকা প্রয়োজন।

তিনি জানান, কেবলমাত্র জেলা পরিষদ নয়, জেলা শহরসহ আশপাশের ৪৬টি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, তার জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় ৪ এপ্রিল জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়।

এসময় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করার জন্যে হেফাজতকর্মীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।