বকেয়া সম্মানীর দাবিতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানদের সংবাদ সম্মেলন

তিন পার্বত্য জেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বকেয়া সম্মানীসহ বিভিন্ন ভাতাদি পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা।

তিনি বলেন, নানান জটিলতার কারণে তিন পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলার মধ্যে কয়েকটি উপজেলা বাদে বাকি সবগুলো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা তাদের ন্যায্য প্রাপ্য সম্মানী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা হতে বঞ্চিত। উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (সংশোধিত-২০১১) এর চতুর্থ তফসিল অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ বিভিন্ন কর, রেইট, টোল, ফিস, হাটবাজার ইজারালদ্ধ অংশের ৪১ শতাংশ, ভূমি হস্তান্তর কারের ১ শতাংশ, ভূমি উন্নয়ন কারের ২ শতাংশ পরিষদে ন্যস্ত সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত আর্থের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ নিজস্ব তহবিল গঠন করে।

১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির আলোকে পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব তহবিল গঠনের খাতগুলো পার্বত্য জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণ হয়। তাই আমরা মনে করি সরকারের উচিত এ বিষয়ে হয় পার্বত্য জেলা পরিষদ সমূহকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া নতুবা সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা বা থোক বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা।

তিন পার্বত্য জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় ১২ মাস থেকে ৩৩ মাস পর্যন্ত উপজেলায় পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বকেয়া সম্মানীসহ বিভিন্ন ভাতাদি বকেয়া পড়ে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী জুনের মধ্যে বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে সকল বকেয়া সম্মানীসহ ৩ দফা দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরী, বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনি চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরা প্রমুখ।

নানিয়াচর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা বলেন, আমি এখনো ৩৩ মাসের বকেয়া সম্মানী ও ভ্রমণ ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা এখনো পায়নি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করেছি। কাজ করতে গিয়ে পরিবারকে তেমন সময় দিতে পারিনি। যেকুটু সম্মানী পেতাম তাও বকেয়া থাকায় খুবই কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছি। সরকারের কাছে বিশেষ প্রণোদনা বা থোক বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করার দাবি রাখছি।

কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরী বলেন, উপজেলা সমূহে বাসা-বাড়ি ভাড়া ছাড়া রাজস্ব আয় বলতে কিছুই নেই। এভাবে পরিষদগুলো চলতে পারে না। যেহেতু পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের পার্বত্য মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সম্মানী ও বিভিন্ন ভাতাসহ প্রদানের ক্ষমতা ন্যস্ত করা হউক। নাহলে প্রতিবছর বিশেষ প্রণোদনা বা থোক বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানাচ্ছি।