পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে লাশ হলেন স্কুলশিক্ষক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পাওনা টাকা চাইতে গেলে কাজল কৃষ্ণ দাস (৫৫) নামে এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৭ মে) ভোরে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়। এর আগে রবিবার (১৬ মে) বিকালে হামলার শিকার হন তিনি।

নিহত কাজল কৃষ্ণ দাস (৫৫) উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরআমানুল্যাহ গ্রামের বসন্ত কুমার দাসের ছেলে এবং স্থানীয় ইন্দুরসরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

রবিবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক শান্ত মজুমদারকে (৩০) নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। তিনি উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের চরআমানউল্যাহ গ্রামের খোকন চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকালে পাওনা টাকা নিয়ে একই এলাকার শান্ত মজুমদারের সঙ্গে স্কুলশিক্ষক কাজল কৃষ্ণ দাসের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শান্ত উত্তেজিত হয়ে কাজলকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেন। রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৪টায় তাঁর মৃত্যু হয়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত শান্তকে আটক করা হয়েছে। নিহতের ছেলে অনুতোষ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে শান্ত মজুমদারকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পাওনা টাকা চাইতে গেলে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।