আমগাছের মালিকানা নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেলো বৃদ্ধার

ছাগলনাইয়ায় আমগাছের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে ফিরোজা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা খুন হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। বুধবার (১৯ মে) রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। নিহত ফিরোজা খাতুন একই এলাকার আব্দুর রউফের স্ত্রী।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি শহীদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার রাঁধানগর ইউনিয়নের নিচিন্তা গ্রামের শামসুল হক মিস্ত্রির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছেলে ফজলুল হক জানান, বাড়ির একটা আমগাছের মালিকানা নিয়ে চাচাতো ভাই মফিজের পরিবারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার বাবা আব্দুর রউফ ঘরের মধ্যে বসে গাছ নিয়ে নিজ পরিবারের সদস্যদের বকাঝকা করেন। পাশের ঘর থেকে মফিজ এবং তার স্ত্রী জবাব দিলেই ঘটনার সূত্রপাত।

ফজলুল হক আরও বলেন, আমার মা ছয় রোজা রাখছিলেন। মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় রোজা। ইফতারের পর পর দুই পরিবারের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। আমি চাচাতো ভাইয়ের পরিবারকে বুঝিয়ে শান্ত করে ঘরে ঢুকিয়ে দিই। আমরা ভেবেছিলাম ঝামেলা তখনই মিটে গেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মফিজের ভাগিনা ছাগলনাইয়ার কলেজ রোডের সন্ত্রাসী শাকিলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী আরমান, ইয়াছিনসহ দুই মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাযোগে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে গালাগালি করতে থাকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। আমার মা, বাবার মাথা ফেটে যায়। হাত ভেঙে যায়। অন্যদেরও রক্তাক্ত করে তারা। হামলা চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া ও ফেনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ফিরোজা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বুধবার তিনি মারা যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক রুমি জানান, বহিরাগত সন্ত্রাসীর হামলায় খুনের ঘটনায় পুরো গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা কেউ রেহাই পাবেন না বরে আশ্বাস দেন তিনি।