বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে চট্টগ্রামের বিখ্যাত চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদ।
মসজিদের চারদিকে যেন মেলা বসেছে রঙের। সুউচ্চ মিনার, দেয়াল, দরজা-জানালা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই রং-বেরঙের কারুকাজ। কারুকাজ দেখেই অনুমান করা যায় এ মসজিদে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণ করা হয়েছে।
বলছিলাম বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অনন্য নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদের কথা। মসজিদ-ই-সিরাজউদ্দৌলা নামে পরিচিত হলেও বেশিরভাগ মানুষ ডাকে চন্দনপুরা মসজিদ নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৮৭০ সালেও মাটির দেয়াল কারুকাজে ভরপুর ছিল। হামিদ মাস্টারের বংশধর ব্রিটিশ সরকারের ঠিকাদার আবু সৈয়দ দোভাষ ১৯৪৬ সালে এই মসজিদ সংস্কারে হাত দেন। সেই সময় কলকাতা থেকে কারিগর ও দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে উপকরণ এনে প্রায় ১৩ শতক জায়গার ওপর দোতলা মসজিদটি গড়ে তোলেন তিনি।
জনশ্রুতি আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গম্বুজ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১০ টন পিতল। এক সময় প্রকাণ্ড গম্বুজটি সূর্যালোকে ঝলমল করত। তবে এখন সেই ঝকমকে ভাব আর নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারিগরের অভাবে সূক্ষ্ম কাজগুলোর সংস্কার না হওয়ায় অনেক কিছু বিবর্ণ হয়ে গেছে। তবে এখনও আগের মতো মানুষের কাছে মসজিদটির আবেদন রয়েছে। প্রতিদিনই পর্যটকরা ভিড় করেন এ মসজিদ দেখতে।