পৃথিবী টিকে থাকার জন্য মানুষের প্রয়োজন নেই: তথ্যমন্ত্রী

নগরের বাসিন্দারা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেললে শহর কখনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের দুই কোটি মানুষ এবং চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ যদি মনে করেন- আমি যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবো, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিষ্কার করবেন। তাহলে শহর কখনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হবে না। তাই ময়লা-আবর্জনা ফেলার ক্ষেত্রে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে।

শনিবার (০৫ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক আবদুল আউয়াল সরকার, বিটিভির উপ-প্রধান বার্তা সম্পাদক অনুপ কুমার খাস্তগীর।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ মানুষ নিজেকে পৃথিবীর অধিপতি মনে করছেন। সে কারণে মানুষ প্রকৃতিকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন। নিজের প্রয়োজনে যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহার করায় মানুষ অনুভব করছেন প্রকৃতি বৈরী হলে কেমন হয়। সেজন্য পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র ও পরিবেশকর্মী হিসেবে সবার প্রতি অনুরোধ জানাই, প্রত্যেকেই তিনটি করে গাছ লাগাই। এটি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্লোগান। একই সঙ্গে নিজের প্রয়োজনে পরিবেশ-প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করি। তাহলেই মানুষ এই পৃথিবীতে টিকে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে ভালো অভ্যাসগুলো জানানো এবং শেখানো। সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই, আসুন যারা পরিবেশ ধ্বংস করে, প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের টিকে থাকার জন্য পৃথিবী দরকার। কিন্তু পৃথিবী টিকে থাকার জন্য মানুষের প্রয়োজন নেই। আমরা যেভাবে পরিবেশ-প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি, বলতে গেলে আমাদের অস্তিত্ব ধ্বংস করে ফেলছি। কাজেই নিজের প্রয়োজনে পরিবেশ-প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, বিটিভির অনুষ্ঠান প্রিভিউ কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. সেলিম ও উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।