ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ফেনীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে জেলা ছত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলালসহ (৩২) পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন এক তরুণী।

শনিবার (২৬ জুন) রাতে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর হোসেনকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ওসি জানিয়েছেন।

মামলায় ছাত্রদল নেতা দুলাল ছাড়াও এজাহারে উল্লেখিত অপর চার আসামি হলেন- দুলালের বাবা রুহুল আমিন (৬০), দুলালের মা মালেকা বেগম (৫০), দুলালের দুই ভাই মামুন (২৮) ও মিজান (২৫)। কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল ফেনী শহরের বিজয় সিংহ এলাকার মহিপাল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় থাকেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি শহরের শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়কের (এসএসকে) এফ রহমান এসি মার্কেটে কাজ করেন। গত দুই বছর ধরে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলালের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। দুলাল তার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন নম্বর থেকে ওই তরুণীর মুঠোফোন নম্বরে ও হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথা বলতো। এ সময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেনীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে এবং বন্ধুদের বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে।

পরবর্তী সময়ে বিয়ের জন্য দুলালকে চাপ দিলে সম্প্রতি দুলাল এসএসকে সড়কের গাজী হোটেল সংলগ্ন নাছির ম্যানশনে বাসায় নিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে হুজুর ডেকে বিয়ে পড়িয়ে মৌখিকভাবে ২০ লাখ টাকা কাবিন করেন। এরপর গত ৬ জুন রাতে দুলাল ওই তরুণীর বাসায় গিয়ে স্বামীর অধিকার নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরদিন ৭ জুন সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দুলাল হুমকি দেয়, সে ওই তরুণীকে বিয়ে করবে না এবং সামাজিক স্বীকৃতিও দেবে না। সঙ্গে কাবিনের কোনও টাকাও দেবে না।

আসামি দুলালের হুমকির প্রেক্ষিতে গত ১১ জুন দুই পক্ষের উপস্থিতিতে সালিশ হয়। বৈঠকে বাদীকে বিয়ে করবে ও ২০ লাখ টাকা কাবিন করে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে উল্টো দুলাল বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটিয়ে সামাজিকভাবে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় পৌর মেয়র ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আপস মীমাংসা করার চেষ্টা করায় থানায় অভিযোগ দিতে বিলম্ব হয়েছে বলেও তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন।