ভ্রাম্যমাণ দোকানে ঈদ আমেজ

কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকঘণ্টা বাকি। ইতোমধ্যে প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন সবাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুটপাতগুলোতে বসা ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদের ভিড় কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। দোকানগুলোতে কোরবানি পশুর খাবার ঘাস, খড় ও ভুসি বিক্রির পাশাপাশি পশু জবাই ও মাংস তৈরির সুবিধার্থে কাঠের টুকরো, দা, ছুড়ি, বটিসহ নানা উপকরণ বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে।

শহরের প্রধান সড়কসহ কাজীপাড়া, ঘোড়াপট্টি সেতু, কান্দিপাড়া, পুরাতন জেলরোড, কুমারশীল মোড়, পুরাতন কাচারী পাড় এলাকায় পুরো রাস্তা এখন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দখলে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে বিক্রেতারা দেইখ্যা লন, বুইজ্যা লন, দাম কম, এসব বিভিন্ন কথা সুর করে বলছেন। এর মধ্যে ঈদের আমেজ অনুভব করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

কোরবানির মাংস তৈরির বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে বসেছেন দোকানিরাকথা হয় শহরের টিএ রোডের ঘাস বিক্রেতা জসিম মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, কোরবানিকে সামনে রেখে তিনি খড়, ঘাস ও ভুসি নিয়ে এসেছেন। বিক্রিও মোটামুটি বেশ ভালো হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে লাভ ভালো হওয়ায় তার মুখে ফুটে উঠেছে ঈদের আনন্দ।

তিনি বলেন, এবারের ঈদটা পরিবার নিয়ে ভালোভাবে কাটাতে পারবো। আল্লায় দিতে কতক্ষণ, আল্লায় দিছে। কাল সারা দিনও বেশ ভালো বেচা-কেনা হবে।

এদিকে শহরের ফকিরা পুলের সামনে কঠের টুকরো (গড়) দা, ছুড়ি, বটিসহ নানা উপকরণ নিয়ে বসেছেন ফরিদ মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য গত বছর তেমন ব্যবসা হয়নি। এবার মোটামুটি হচ্ছে। আল্লায় দিছে। এবার কাস্টমার বেশি। বেশির ভাগ কাস্টমার সৌখিন। তারা ছুরি, বটি কাঠের গড় কিনছেন। সীমিত লাভে কোরবানির বিভিন্ন উপকরণ আমরা বিক্রি করছি। বেচা-কেনা ভালো, এ বছর লাভের মুখ দেখেছি। আশা করি চাঁন রাত পর্যন্ত ভালো বিক্রি হবে।

ফুটপাতের দোকানে শেষ সময়ের বেচা-কেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতাকোরবানির পশু ক্রেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৈরতলা এলাকার বাসিন্দা জিল্লু মিয়া বলেন, একটি গরু কিনেছি আজ। কোরবানির গরুর জন্য খড় ও ঘাস কিনতে এসেছি বাজারে। আমরা জানি থানা ব্রিজের সামনে এসব প্রতিবছর পাওয়া যায়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, প্রতিবছর কোরবানির পশুর খাবার এবং গোশত তৈরির বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকান দেন ব্যবসায়ীরা। মৌসুমি এসব দোকানে ঈদের দিন পর্যন্ত পণ্য বিক্রি হয়। তবে দাম যাই হোক, শহর অঞ্চলের ক্রেতারা সহজে প্রয়োজনীয় পণ্য পেয়ে যান। এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ঈদের আমেজ বাড়িয়ে দেয় বলে জানান তিনি।