লোক আসছে না বলে সচল হচ্ছে না আইসিইউ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে তিনটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও ৫০টি সাধারণ শয্যা রয়েছে। তবে হাসপাতালটির সাধারণ শয্যায় চিকিৎসা সেবা চালু থাকলেও এখনো অচল তিন আইসিইউ। ফলে এ অঞ্চলের করোনা রোগীরা আইসিইউ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে তিনটি আইসিইউ সুবিধা রাখা হলেও এগুলোতে পর্যাপ্ত মেশিনারিজ ও অন্যান্য সুবিধা নেই। ঢাকা থেকে লোক পাঠিয়ে মেশিনারিজ ও অন্যান্য সামগ্রী স্থাপন করার কথা থাকলেও এখনো সেগুলো বাস্তবায়ন করেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।’

কবে সচল হতে পারে আইসিইউ- জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু আইসিইউ সচল হলেতো চলবে না। আইসিইউতে চিকিৎসা দিতে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লাগবে। হাসপাতাল ১০০ শয্যার হলেও সবমিলিয়ে চিকিৎসক আছেন ১৩ জন।’ আইসিইউ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কয়েকজন চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

এ আবাসিক চিকিৎসক আরও জানান, চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতালে এখন পর্যন্ত আটজন রোগী মারা গেছেন। আইসিইউ থাকলে হয়তো কেউ বাঁচলেও বাঁচতে পারতো। এ ছাড়া এর বাইরে উপসর্গ নিয়েও প্রায় ৪০ জন মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ৩১ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

দীঘিনালা উপজেলার জামতলী এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান জানান, গত ২২ জুন তার ভাই মোসলেম উদ্দিনকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। আইসিইউ সুবিধা না থাকায় দুই দিন পর চিকিৎসকরা তার ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তিনি মারা যান। খাগড়াছড়িতে আইসিইউ থাকলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেতো বলেও জানান শাহজাহান।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ বলেন, ‘সব কিছুতো আর আমাদের হাতে নেই। আইসিইউ শয্যা থাকলে খাগড়াছড়িবাসী সুবিধা পেতো। কিন্তু এই প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য ঢাকা থেকে লোকজন আসবে। কবে নাগাদ আসবে এর নিশ্চয়তা তার কাছে নেই।’