লকডাউনে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর ঢেউটিন

করোনার সংক্রমণরোধে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুরেও কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে রিকশা চলাচল। এর মধ্যে জরুরি সেবা হিসেবে রোগী বহনের জন্য চালু আছে অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু পুলিশ, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবার অ্যাম্বুলেন্সে ঢেউটিন বহন করছেন ব্যবসায়ীরা। 

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) শহরের স্ট্যান্ড রোড এলাকার একটি দোকান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢেউটিন তুলতে দেখা যায়। পরে সেগুলো অ্যাম্বুলেন্সযোগে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জরুরি যান ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ চাঁদপুরে বন্ধ করে দেওয়া হয় রিকশা চলাচল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে স্ট্যান্ড রোড, আজিজ ব্রাদার্সসহ কয়েকটি দোকান থেকে ঢেউটিন গন্তব্যে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে বিষয়টি আমার চোখে পড়ে। দোকানের শাটার বন্ধ। কিন্তু পেছন দিয়ে দরজা খোলা। ওই দরজা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে টিন তোলা হয়।

অ্যাম্বুলেন্সে ঢেউটিন বহন করছেন ব্যবসায়ীরা

তিনি বলেন, এটি ধোঁকাবাজি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢেউটিন বহন করা হচ্ছে। শহরের স্ট্যান্ড রোডের কয়েকটি দোকানের সামনের শাটার বন্ধ। কিন্তু পেছনের দরজা দিয়ে মালামাল বিক্রি চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজিজ ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আজিজ বলেন, টিন অ্যাম্বুলেন্সে ঢোকানো যায়? অ্যাম্বুলেন্সে তো রোগী ছাড়া অন্য কেউ বসতে পারে না, টিন ঢুকবে কীভাবে? যে আপনাকে তথ্য দিয়েছেন, তিনি সঠিক বলেননি। অ্যাম্বুলেন্সে টিন তোলার ছবি আছে জানালে তিনি বলেন, ছবি থাকলে হবে কী?

চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া বলেন, ব্যবসায়ীরা অ্যাম্বুলেন্সে কেন ঢেউটিন বহন করছেন তা বলতে পারছি না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবো।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। অ্যাম্বুলেন্স হলো রোগী পরিবহনের জন্য। তাতে যদি টিন পরিবহন করা হয় তাহলে সেটি বেআইনি। এটি সত্য হলে আমরা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।