লাইব্রেরি থেকে কিনতে হচ্ছে ‘ফ্রি ওয়ার্কশিট’

সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে একদিন স্কুল শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে ওয়ার্কশিট দেবেন। পরবর্তী সপ্তাহে তা জমা নিয়ে পুনরায় নতুন ওয়ার্কশিট দেওয়া হবে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় শেষে ওয়ার্কশিটে তার মূল্যায়ন করা হবে। এই ওয়ার্কশিট ফটোকপি করে শিক্ষার্থী অথবা অভিভাবকদের ফ্রিতে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তবে রামগড় উপজেলায় এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা মানলেও অনেক প্রতিষ্ঠানই তা মানছে না। স্কুল থেকে অভিভাবকদের স্থানীয় লাইব্রেরি থেকে টাকার বিনিময়ে ওয়ার্কশিট সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

অভিভাবকদের মধ্যে নুরুল আলম, রিংকু আক্তার, সাজাই মারমা অভিযোগ করেন, রামগড় পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রামগড় সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামগড় গনিয়াতুলউলুম মাদ্রাসা থেকে প্রথম প্রথম ওয়ার্কশিট দেওয়া হলেও এখন বলা হচ্ছে লাইব্রেরি থেকে ওয়ার্কশিট কিনে নিতে। অভিভাবকরা লাইব্রেরি থেকে একটি তিন পাতার ওয়ার্কশিট ২৫ টাকার বিনিময়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। 

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার দিচ্ছে ফ্রিতে, কিন্তু আমাদের তা টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে। অভিভাবকরা অনতিবিলম্বে ওয়ার্কশিট ছাপিয়ে লাইব্রেরিতে তা বিক্রি বন্ধের দাবি তুলেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, আমাদের ওয়ার্কশিটের জন্য যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অপ্রতুলের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে কোনও সদুত্তর দেননি তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামগড় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ওয়ার্কশিট সম্পূর্ণ ফ্রিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিতে হবে। ওয়ার্কশিটের খরচ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্লিপ ফান্ড থেকে বহন করবেন। কোনও স্কুল যদি লাইব্রেরি থেকে ওয়ার্কশিট নিতে বলে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।