প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর, স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ‍দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের প্রদীপকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে আনা হয়। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গত ২৭ জুলাই শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এক মাস পর আজ শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারন। তার চার কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন মামলাটি করেন।