ভর্তি হতে কলেজে এসে খুশি শিক্ষার্থীরা

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সব কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় কলেজমুখী হতে শুরু করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, দীর্ঘদিন পর কলেজ আঙিনায় আসতে পেরে খুশি তারা। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কলেজের অফিসিয়াল কার্যক্রম।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজ ঘুরে দেখা গেলো, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসছেন কলেজে। মুখে মাস্ক আর হাতে অনার্সে ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তারা ভর্তিচ্ছু ডিপার্টমেন্টের শ্রেণিকক্ষে বসেই সেরে নিচ্ছেন ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম। এতে তাদের সহযোগিতা করছেন কলেজ সংশ্লিষ্টরা  কেউ কেউ আবার ভর্তির কাজ সেরে দূরত্ব বজায় রেখে সহপাঠী ও বন্ধুদের সঙ্গে বসে গল্পে মেতেছেন।

ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

চাঁদপুর সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মাইমুনা আক্তার বলেন, ‘আমি যে সাবজেক্ট প্রথম পছন্দ দিয়েছিলাম সেটিই পেয়েছি। তাই আজ এসেছি ভর্তি হতে। দীর্ঘদিন পর কলেজে এসে খুব ভালো লাগছে।’

সমাজকর্ম বিভাগের জাহিদ জুয়েল বলেন, ‘আমরা অন্য কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছি। এ কলেজে আজই প্রথম এসেছি। অনেক সহপাঠীদের দেখছি। তাই আমাদের অনুভূতিটা অন্যরকম।’

ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হতে আসা নাছিমা বলেন, ‘ভর্তির কাগজপত্র ঠিক করতে কলেজে এসেছি। কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গেও দেখা হলো। সবমিলিয়ে দীর্ঘদিন পর কলেজে এসে আনন্দ লাগছে।’

চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে অনার্সে ভর্তি হতে আসা নাহিদা সুলতানা বলেন, ‘ভর্তি শুরু হওয়ায় কলেজে এসেছি। এইচএসসির সার্টিফিকেট আগে তুলতে পারিনি। তাই এখন কলেজে এসে সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। ভর্তির জন্য সব কাগজপত্র জমা দেবো।’

বহুদিন পর সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা

চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের কলেজে ১৭টি ডিপার্টমেন্টে আসন সংখ্যা দুই হাজার ৫৬৫টি। এসব আসনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলছে। ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কলেজে আসার প্রয়োজন নেই। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, তাদের কাগজপত্র ভেরিফাই করতে। সেজন্যই শিক্ষার্থীদের কলেজে আসতে হচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভর্তি কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাসুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এখানে সমাজকল্যাণ, বাংলা, ইতিহাসসহ চার বিষয়ে অনার্স রয়েছে। এ বিষয়গুলোতে সর্বমোট ৪৭৫ আসনে ভর্তি হবে শিক্ষার্থীরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম লেট ফি ছাড়া চলবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যাবতীয় কাগজপত্র জমা ও সেমিনার ফি দিতে হয়। এসব কারণে ছাত্রছাত্রীদের কলেজে আসতে হয়।’