ব্যালটে সিল মারার সময় ৬ নির্বাচন কর্মকর্তা আটক

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অবৈধভাবে কয়েকটি প্রতীকে সিল মারার সময় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত চার সহকারী প্রিসাইডিং ও দুই পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়েছে।

আটক চার সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হলেন, চর ঈশ্বর ইউনিয়নের হাতিয়া মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত হরনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান ও চৌমুহনী আরাফিয়া সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি মো. বেলায়েত হোসেন; জাহাজমারা ইউনিয়নের হাজী মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমেদ রাব্বি ও পশ্চিম সোনাদিয়া আবদুল মতিন পন্ডিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছিদ্দিক উল্লাহ। একই কেন্দ্র থেকে আটক দুই পোলিং এজেন্ট হলেন, দক্ষিণ নলচিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুন্নী বেগম ও মধ্য মাইজচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারজানা আক্তার।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় ইউপি নির্বাচনের ভোট চলাকালে বিভিন্ন প্রতীকে সিল দেওয়ার সময় তাদের আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী ও হাফিজুল হক।

রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরে চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিয়া মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রতীকে সিল মারার সময় দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

অপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান, দুপুরে হাজী মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং ও দুই পোলিং এজেন্টকে অবৈধভাবে ব্যালট পেপারে প্রতীকে সিল মারার সময় আটক করে পুলিশে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী ও হাফিজুল হক।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।