করোনায় বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি খাত পর্যটন। করোনা সংক্রমণরোধে দীর্ঘদিন দর্শনীয় স্থানগুলোতে সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। তবে সংক্রমণ কমে আসায় পুনরায় পর্যটনস্পটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ভিড় জমাচ্ছেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। এ অবস্থায় বিভিন্ন নির্দেশনা মেনে সচেতনভাবে সেবা দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য পর্যটন’ স্লোগানকে ধারণ করে প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা পালন করছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এদিকে লকডাউনের পর কক্সবাজার সৈকতে প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। লাখো পর্যটকে মুখরিত এখন সমুদ্র সৈকত।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিউদ্দিন আহমদ বলেন, পর্যটনের সুফল এবং সচেতনভাবে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে লাখো পর্যটকের মধ্যে বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। এ জন্য মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে ১৯৭০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন সংস্থা গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় জাতিসংঘ। তবে সংস্থাটি পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করে ১৯৭৪ সালে। সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে ১৯৮০ সালে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের প্রস্তাবে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।