সিনহা হত্যা মামলা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ অক্টোবর

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম দফার শেষ দিনে আরও চার জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অন্য সাক্ষীদের জন্য আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।

সিনহা হত্যা মামলায় ৫ দফায় শেষ দিনে সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইমরান হাসান, এসআই সোহেল সিকদার, এএসআই নজরুল ও কনস্টেবল শুভ পাল সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে কড়া পুলিশি প্রহরায় আদালতে আনা হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সিনহা হত্যা মামলায় ৫ দফায় শেষ দিনে নয় জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীদের অনীহায় চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া কালক্ষেণের অংশ হিসেবে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুনরায় উপস্থিত থাকতে আদালতে আবেদন করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছরের ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয় র‍্যাবকে।

ঘটনার ছয় দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন। ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করেন। পরে র‍্যাব ও পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে। এরপর গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।

আরও পড়ুন-
‘সাংবাদিক ফরিদকে ঢাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় ওসি প্রদীপ’