দুই সন্তানসহ স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

স্ত্রী সুমিতা খাতুনসহ দুই সন্তানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী সোহেল রানাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে সুমিতার ফুফার করা মামলায় শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, এসএস হাউজিংয়ের চারতলার ফ্ল্যাট থেকে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই নারীর ফুফা শুক্রবার রাতে আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর এলাকার এসএস হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে সুমিতা খাতুন ও তার দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সুমিতা খাতুন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানা পাঙ্গাশিয়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী। নগরীর মুরাদপুর এলাকায় তার ইউনানি ওষুধের দোকান আছে। সোহেল রানা বিয়ের পর থেকে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে বসবাস করছেন। দুই বছর আগে তিনি এসএস হাউজিংয়ের ওই ফ্ল্যাটে ভাড়ায় ওঠেন। শুক্রবার সকালে বাসা থেকে সুমিতা খাতুন ও তার ছেলে-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ

সোহেল রানার দুলাভাই নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাত খেয়ে ৩টার দিকে দোকানে যায়। রাত ৯টায় বাসায় ফিরে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পায়। আধা ঘণ্টার মতো চেষ্টা করেও ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে চলে যায়। রাত ১১টার দিকে এসে আবার চেষ্টা করে। কিন্তু তখনও বাসায় ঢুকতে না পেরে ফিরে যায়। ওই সময় সোহেল আমার ভায়রা-ভাইকে কল করে বিষয়টি জানায়। পরে আমাদের সবাইকে জানায়। খবর পেয়ে আমরা বাসায় যাই। 

তিনি আরও বলেন, ১০ বছর আগে সোহেলের সঙ্গে সুমিতার বিয়ে হয়। এরপর থেকে চট্টগ্রামে বসবাস করছেন। গত ১০ বছরে তাদের মনোমালিন্য হয়নি।

একই কথা জানিয়েছে ভবনের দারোয়ান ফোরকান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহেল বাসায় ঢুকতে না পেরে আমার কাছে বাসার চাবি চেয়েছেন। পরে চাবি নিয়ে আমিসহ গিয়ে অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও ভেতরে ঢুকতে পারিনি। ভেতর থেকে দরজা আটকানো ছিল। পরে তিনি ফিরে যান। আমি রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।