বেগমগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৩ জনের স্বীকারোক্তি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের পূজামণ্ডপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা এবং হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত আট জনের মধ্যে তিন জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে চার জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

এর আগে, ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত ও গ্রেফতার আট জন এবং সন্দেহভাজন পাঁচ জনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন– রিপন আহামেদ মাহীর (১৯), আরাফাত হোসেন আবির (১৮) ও ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাজিব (২৪)। এর আগে, বৃহস্পতিবার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর গ্রামের আবদুল হাশিমের ছেলে আবদুর রহিম সুজন (১৯) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছিলেন।

ফুটেজ দেখে শনাক্ত আটক আট আসামি হলেন– সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের চর বহুলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ফরহাদ (২৬), চৌমুহনী পৌরসভার গনিপুর গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে শামীম (২৭), একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন আহমেদ মাহীর (১৮), বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের দেলোয়ারের ছেলে জহিরুল ইসলাম জুয়েল (১৯), হাজীপুর ইউনিয়নের নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাজিব (২৪), ছয়ানি ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে আরাফাত হোসেন আবির (১৮), চৌমুহনী পৌরসভার মধ্যম নাজিরপুর গ্রামের মৃত বাবুল হেসেনের ছেলে দুলাল হোসেন (৪০), সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে কামাল হোসেন (৪৫)।

এ ছাড়া পূজামণ্ডপে হামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে শহীদ (৪৫), চৌমুহনী পৌরসভার গনিপুর গ্রামের এতিম আলীর ছেলে হুমায়ুন (৬৩), একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কাশেম বিন আবু জুবায়ের অরিন (২৫), মোস্তফার ছেলে ইমাম হোসেন রাজু (২৮) ও বাবলু মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫)।

গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।