ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে চাকমা তরুণদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নৃগোষ্ঠীর অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল সম্রাটসহ ২০ জন এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে হোয়াইক্যং ইউপির কাটাখালীতে এমন ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখালী চাকমা পল্লীতে এক তরুণীকে ইভটিজিং করা নিয়ে বিচারে বসে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল সম্রাট ও তার ভাই কায়সার। এ সময় কথা কাটাকাটির জেরে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অরণ্য বৌদ্ধ বিহারের দায়িত্বে থাকা অন্তর চাকমা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল ও তার ভাই কায়সার বিচারে এসেছিল। সেখানে কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে হামলায় আমাদের ১০ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার সাকিল আহমেদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ চৌধুরী, র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে রাতে এক খুদে বার্তায় উপজেলা প্রশাসন জানায়, ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তোফায়েলের সঙ্গে কয়েকজন চাকমা ছেলে-মেয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া কাটাখালীর ব্রিজ সংলগ্ন মূল সড়কেও ১০-১২ জন ছেলের সঙ্গে চাকমা তরুণদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ৫-৬ জন চাকমা ও ৩-৪ জন স্থানীয় যুবক আহত হন।
ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল সম্রাট বলেন, বিচারে কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে।
তবে তোফায়েলকে সংগঠনের নেতা বলতে নারাজ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না। তিনি বলেন, যে তোফায়েলের কথা বলা হচ্ছে তাকে আমি চিনি না। সে যে কমিটিতে রয়েছে সেটি অবৈধ।