সিনহা হত্যা মামলা: ষষ্ঠ দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু 

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ষষ্ঠ দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে শুরু হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়েছে। আজ সিনহার লাশ থেকে উদ্ধার গুলি ও জব্দ করা বিভিন্ন মালামালের রাসায়নিক পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, মঙ্গলবার সকালে মামলার ৪৪ নম্বর সাক্ষী হিসেবে একটি মোবাইল ফোনের কর্মকর্তা আহসানুল হককে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। লাশ থেকে উদ্ধার গুলি ও জব্দ করা বিভিন্ন মালামালের রাসায়নিক পরীক্ষা যারা করেছেন, তাদের মধ্যে সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পিংকু পোদ্দারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাক্ষী দেবেন। এ ছাড়া মোবাইল অপারেটর কোম্পানির আরও একজন সৈকত সিপলু আজ আদালতে সাক্ষী দেবেন। আজ দ্বিতীয় দিন এই মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ আটক করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করা হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।