টাকা আত্মসাতের মামলায় মাদ্রাসা সুপার কারাগারে

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দানপত্রের ১৫ শতক জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় মাদ্রাসার সুপার মো. রফিক উল্যাকে (৪০) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এই আদেশ দেন আদালত।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জহিরুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ) জুয়েল দেবের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রফিক উল্ল্যা। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। 

অভিযুক্ত রফিক উল্যা উপজেলার গন্ধব্যপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যাহ’র ছেলে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার (অধ্যক্ষ)।

মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্রগঞ্জ বায়তুল আকসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দানপত্র দলিল মূলে পাওয়া ১৫ শতাংশ জমি ২০১৪ সালে বিক্রি করে দেন নুরুল ইসলাম মিয়া। জমি বিক্রির ওই টাকা মাদ্রাসার কোনও উন্নয়নমূলক কাজ না করে রফিক উল্যা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুজ্জাহের ভূঁইয়া আদালতে মামলা করেন। অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ১ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

মাদ্রাসার সহকারী সুপার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার ১৫ শতক জমি বিক্রির বিষয়টি সুপার স্বীকার করেছেন। কিন্তু বিষয়টি সমাধান না করায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।