নির্বাচনের ১৪ দিন পর অনিয়মের অভিযোগ করলেন নৌকার পরাজিত প্রার্থী

ভোট গণনায় অনিয়ম করে ফলাফল পরিবর্তনে অভিযোগ তুলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত নৌকার প্রার্থী কিরণ মিয়া। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান তিনি।

প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী কিরণ মিয়া সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা যুবদলের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি আজহারুল হককে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রদান করতে সুপারিশ করে বিশেষ একটি মহল। এ নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। ফলে গোয়ালনগর ইউনিয়নে আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেন শেখ হাসিনা। গত ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনের ৩/৪দিন আগে স্থানীয় এমপির পরামর্শে আমার ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রের আমার নেতাকর্মীদের কমিটির তালিকা জমা দেই। নির্বাচনের আগে রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমার তালিকা দেওয়া নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতারের জন্য খোঁজ করেন ও হুমকি দেন।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনের দিন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভোট কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়। ইউনিয়নের নোয়াগাঁও ও রামপুর কেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হক রামপুর কেন্দ্রে দুপুর দেড়টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে অবস্থান নেন। তিনি ইউনিয়নের রামপুর কেন্দ্র ছাড়াও আট কেন্দ্রের ফলাফল নিজ খেয়াল খুশি মতো প্রকাশ করেন। আমাকে ২৯ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অত্যাচার না করলে আমি জয়ী হতাম। আমার এজেন্টদের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রে ভোট গণনা সঠিক হয়নি।’ তিনি পুনঃভোট গণনা বা পুনঃভোটের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুবলীগ কর্মী কাউসার মিয়া ও ছাত্রলীগ কর্মী এনায়েত হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।