জামিনে মুক্তি পেলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির

দুই মাস ২৫ দিন কারাবাসের পর কচুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এর আগে, ১ সেপ্টেম্বর আদালতে ধানমন্ডি থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় স্থায়ী জামিন চাইতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে, শাহজাহান শিশিরের উপজেলা চেয়ারম্যান পদের ওপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ও বাতিল মর্মে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় তলা ভবন নির্মাণের অনিয়মের সূত্র ধরে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী নুরে আলম গত বছরের ১৯ জুলাই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন অভিযোগে কচুয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শাহজাহান শিশির একই বছরের ২৫ আগস্ট চাঁদপুরের নিম্ন আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময়ে তিনি টানা তিন মাস ১২ দিন কারাভোগের পর কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৭ ডিসেম্বর  জামিনে মুক্তি পান।

চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর মহানগর দায়রা জজ ঢাকা আদালতে হাজির হয়ে ধানমন্ডি থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় স্থায়ী জামিন চাইলে বিচারক ইমরুল কায়েস জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান। সবমিলিয়ে ঢাকা ও কুমিল্লায় পৃথকভাবে শাহজাহান শিশির ছয় মাস আট দিন কারাবরণ করেন।

কচুয়া পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন অন্তর বলেন, ‘এ জয় সত্যের জয়। এ জয়ের মাধ্যমে কচুয়াবাসীর বিজয় হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’