‘অপকর্মের ভিডিও করবে জেনে সিনহাকে হত্যা করেন প্রদীপ’

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের জেরা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল বিকাল ৪টার দিকে তার জেরা শেষ হয়। 

আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পাঁচ দিন ধরে জেরা করেছেন। পরে আজ বিকাল ৫টায় আদালত মূলতবি ঘোষণা করে আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ দিন ধার্য করেন। 

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে জেরা শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের জেরায় এএসপি খাইরুল ইসলাম আদালতে জানান, বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ আসামিরা পরিকল্পিতভাবে মেজর সিনহাকে হত্যা করেন। টেকনাফ থানায় দায়িত্ব পালনকালে তৎকালীন ওসি প্রদীপের নানা অপকর্মের খবর জানতে পারেন সিনহা। এসবের ভিডিও ধারণ করার খবর জেনে গেলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন প্রদীপসহ আসামিরা।

অ্যাডভোকেট ফরিদ আলম জানান, এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা। এটা একটা স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর মামলা। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তাকে পাঁচ দিন ধরে জেরা করেছেন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৬৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে মোট ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।

তিনি আরও জানান, আদালতের কার্যক্রমের শেষের দিকে আট আসামিকে কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় কোনও বক্তব্য আছে কি-না জানতে চাইলে, তারা লিখিতভাবে আদালতকে জানাবেন বলে জানান। প্রদীপসহ অপর সাত আসামি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আগামী ধার্য তারিখে আদালতে বক্তব্য দেবেন।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।