কাগজ ঘোষণায় এলো ১২০ কোটি টাকার সিগারেট স্ট্যাম্প

কাগজ ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে আমদানি করা কনটেইনার ভর্তি প্রায় ১২০ কোটি টাকার জাল সিগারেট ট্যাক্স স্ট্যাম্প জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে কাস্টম হাউসের শুল্ক কর্মকর্তারা এসব ট্যাক্স স্ট্যাম্প জব্দ করেন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজবি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সরকারি সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসেই কেবল ট্যাক্স স্ট্যাম্প তৈরি করতে পারে। অবৈধ চক্র জালিয়াতি করে জাল সিগারেট স্ট্যাম্পগুলো আমদানি করেছে। আমরা বন্দরে এসব পণ্যের ইনভেন্ট্রি (বন্দর ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনার ভর্তি পণ্য সরেজমিন পরীক্ষা) করে অবৈধভাবে পণ্য আমদানির পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বিকালেই পণ্য চালানটি জব্দ করা হয়।’

কাস্টমস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামভিত্তিক ট্রেডিং কোম্পানি আরাফাত এন্টারপ্রাইজ চীনের ডিজি অ্যান্টি-ফেক (শেনঝেন) কোম্পানি লিমিটেড থেকে কাগজ আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার সময় শুল্ক কর্মকর্তারা দেখতে পান চালানের ভেতরে বিপুল পরিমাণ অবৈধভাবে আনা সিগারেট ট্যাক্স স্ট্যাম্প লুকানো আছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) রফতানি এবং আমদানিকারকের নথি ও ট্রেডিং তথ্য যাচাই করে পণ্য চালানের জালিয়াতির সব তথ্য চিহ্নিত করে।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন রিজভী বলেন, ‘২০ ফুট কনটেইনার ভর্তি অবৈধ পণ্য চালানের ভেতরে লুকানো সিগারেট ট্যাক্স স্ট্যাম্প। এই চালান খালাস হলে সরকার ১২০ কোটি থেকে ১৪০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো।’

কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, নগরীর জুবলি রোড এলাকার আরাফাত এন্ট্রারপ্রাইজ পণ্য চালানটি আমদানি করতে ইউনিয়ন ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) করে। কাস্টম হাউসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিও) রফতানিকারকের বিস্তারিত তথ্য রফতানিকারক দেশ, রফতানিকারকের ওয়েবসাইট, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে। এরপর পণ্য চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহারযোগ্য জাল স্ট্যাম্প থাকার বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা লাভ করে। পরে বুধবার বিকালে পুরো চালানটি জব্দ করা হয়।