থানা কমপাউন্ডে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে কনস্টেবলসহ গ্রেফতার ৪

নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানা কমপাউন্ডের মধ্যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেনসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে আসামি করে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন। ভুক্তভোগীর বাড়ি জেলার সেনবাগ উপজেলায়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে সুধারাম থানা কমপাউন্ডে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই অভিযুক্ত চার জনকে আটক করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও নোয়াখালী সদরের ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর ছেলে সিএনজিচালক মো. কামরুল (২৫), একই উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০) এবং সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তরুণী ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে অর্থের সংকট দেখা দিলে তরুণী তার পূর্ব পরিচিত সিএনজিচালক মো. কামরুলের সঙ্গে দেখা করেন। একপর্যায়ে কামরুল এবং তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু তাকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সহযোগিতায় মকবুল হোসেন তরুণীকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী সুধারাম মডেল থানায় বিষয়টি জানান।

সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলায় চার আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।’