স্কুলছাত্রকে একসঙ্গে ৩ ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে একইসঙ্গে করোনার তিন ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাকেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

একসঙ্গে তিন ডোজ টিকা পাওয়া ছাত্রের নাম মো. ইয়াছিন হোসেন ওরফে আরাফাত (১৫)। সে উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেয়াজ আলী ব্যাপারী বাড়ির ইব্রাহীম খলিলের ছেলে।

হাটকুপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ বলেন, ‘সকালে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফাইজারের প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। একপর্যায়ে ইয়াছিন হোসেন আরাফাতের বাহুতে পর পর তিন ডোজ টিকা দেয় স্বাস্থ্যকর্মী দিদার হোসেন। এরপর অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইয়াছিন স্কুলে এসে তিন ডোজ টিকা দেওয়ার কথা আমাকে জানায়। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তাদের জানাই। তাকে এখন চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় আরাফাতকে টিকা দেওয়ার সময় সে হাত টান দিলে টিকার ফ্লুইড বাইরে পড়ে যায়। পরে তাকে টিকার একটি ডোজ দেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি টিকার ডোজে ০.৩ মিলি ফ্লুইড থাকে। আর তিন ডোজ টিকা দেওয়া বিষয়টি গুজব। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং সে ভালো আছে।’

এদিকে, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত টিকাদানকারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।