প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি প্রদীপের

চট্টগ্রামের আদালতে হাজিরা শেষে প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের দেখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এ সময় আশপাশে উপস্থিত লোকজন তাকে ‘চোর চোর, ভুয়া ভুয়া’ বলে সম্বোধন করেন। কেউ কেউ বলেন, ‘প্রদীপের ফাঁসি চাই’। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলায় প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিল।

প্রদীপ কুমার দাশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পান। গত ৩১ জানুয়ারি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার প্রদীপকে ঢাকার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী মজিদের আদালতে আনা হয়। তবে এদিন তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করেন। একই মামলায় প্রদীপ কুমারের স্ত্রী চুমকি করনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ উপস্থিত থাকলেও পলাতক রয়েছেন তার স্ত্রী চুমকি করন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখার আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তাই দুদকের মামলায় বৃহস্পতিবার প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। তার স্ত্রী চুমকি করনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।’

৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি করনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট এ মামলা করা হয়।