প্রেমের টানে বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

ফেসবুকে পরিচয়, তারপর প্রেম। সেই প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামে এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। সোমবার (৮ মার্চ) বিকালে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামেন। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমদের বাড়িতে পৌঁছান।

ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপক এলাকার পাউদি হেলমি ও ফিসুনয়াদি ইসনা ওয়াপি দম্পতির মেয়ে। তিনি সেখানে একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন। রাসেল আহমেদ রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে। পেশায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফানিয়ার সঙ্গে রাসেলের পরিচয় এরপর বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। একপর্যায়ে দূরত্ব ঘুচিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রাসেল জানান, চার বছর প্রেম করার পর বিয়ের জন্য সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমান ফানিয়া। ভবিষ্যতে স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা আছে তার, তবে আপাতত নয়। দুই মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন ফানিয়া। ছুটি শেষে চলে যেতে হবে আবার ইন্দোনেশিয়ায়। ফানিয়াও বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।

আরও পড়ুন: প্রেমের টানে জার্মান নারী বরিশালে

মঙ্গলবার সকালে রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমেদের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, রাসেলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প করছেন ফানিয়া। তিনি জানান, রাসেলের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। রাসেলের সঙ্গে নিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান। বিষয়টি তিনি তার মা-বাবকে জানিয়েই এসেছেন। তিনি এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ। ফানিয়া বাংলা বুঝতে পারেন, তবে বলতে পারেন না। আস্তে আস্তে বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন।

রাসেল আহমেদের মা বিলকিস বেগম জানান, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে খুব মিশে চলছে ফানিয়া। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। এ ছাড়াও ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আশপাশের মানুষ ভিড় করছে ফানিয়াকে দেখার জন্য।