‌‘২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতারকৃত আসামিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হবে’

যাতায়াতের সময় বাদ দিয়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হবে। শনিবার (১২ মার্চ) পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে থানার ওসিদের এ নির্দেশ দেন চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম।  

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে তিনি বলেন, মানবদেহে আঘাত সংক্রান্ত অপরাধসমূহে মূল ভিকটিমকে যেন সাক্ষী করা হয়। সঠিক ধারায় যেন মামলা নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার জন্য বিভিন্ন থানার ওসিদের নির্দেশনা দেন তিনি।

কনফারেন্সে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটরা মামলার সঙ্গে জব্দ তালিকা প্রেরণ, খসড়া মানচিত্রে ঘটনাস্থল সুনির্দিষ্টকরণ, সাক্ষীর ১৬১ ধারার জবানবন্দি লিপিবদ্ধের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন, সাক্ষীর ওয়ারেন্টের প্রতিবেদন প্রেরণের ওপর জোর দেন।

কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের  স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বেগম মনীষা মহাজন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমান এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন, সিএমপির এডিসি (প্রসিকিউশন) মো. কামরুল হাসান, এডিসি (ক্রাইম) মো. জহিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. কামরুল হাসান এবং মহানগরীর সব থানার ওসি।

সভায় বক্তারা দ্রুত গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল ও সমন জারির ব্যবস্থা গ্রহণ, তদন্তকাজে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান, তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার, হয়রানি বন্ধ, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও ডাক্তারি সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন, নকলখানা থেকে স্বল্পতম সময়ে নকল সরবরাহের ব্যবস্থা করা, মামলার আলামত সংরক্ষণ ও সঠিক নিয়মে নিষ্পত্তি, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও নিষ্পত্তিকৃত নথি দ্রুত রেকর্ডরুমে প্রেরণ, আদালত ও বিচার সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত কনফারেন্সে তুলে ধরেন।