তারাবির নামাজরত দম্পতিকে কুপিয়ে জখম

কুমিল্লায় তারাবির নামাজ পড়া অবস্থায় এক দম্পতিকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নির্বাচনি সহিংসতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আহতদের পরিবারের। 

স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার রাতে নিজ ঘরে তারাবির নামাজ পড়ছিলেন এতিম আলী (৫০) ও তার স্ত্রী হেলেনা আক্তার (৪২)। এ সময় গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত সদস্য প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা এসে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাদেরকে জখম করে চলে যায়। এরপর আহত স্বামী-স্ত্রীকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানকার নির্বাচিত ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, ‘নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আবুল কালাম আজাদ ও তার সমর্থকরা উগ্র হয়ে উঠেছে। এর আগে তারা আমাদের এক সমর্থককে হত্যা করেছে। তারা বলছে, হত্যা যেহেতু করেছে আরও মানুষ মেরে জরিমানা দেবে।’

আহত এতিম আলীর চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, তারা কুপিয়েছে এতেই থেমে যায়নি। কুমিল্লা নগরীর সাংবাদিক পরিচয়ে একজন বিষয়টি সমাধানের কথা বলেছেন। শনিবার বিকেলে একটি নম্বর থেকে কল দিয়ে বলেন, ‘আপনি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন কেন? কিসের ক্ষমতা দেখান। আপনি সমাধানে চলে যান।’

এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ। একাধিকবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় প্রতিনিধিদের থেকে জানতে পেরেছি, অভিযুক্তরা যাযাবর স্বভাবের। ঘটনার তদন্তে আমাদের টিম কাজ করছে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি ইউছুফপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা হামলা চালায় বিজয়ী প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের ওপর। এতে গুরুতর আহত হন নুরে আলমসহ ১৫ জন। ঘটনায় উভয়পক্ষ ৯ ফেব্রুয়ারি দেবিদ্বার থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করে। একমাস চিকিৎসার পর ৯ মার্চ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ঘটনায় আহত নুরে আলম।