প্রাথমিকে নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১৩ সদস্য আটক

লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রামগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এ সময় প্রতারক চক্রের কাছ থেকে জব্দ করা বিভিন্ন পরীক্ষার্থীদের থেকে চুক্তি অনুযায়ী জামানত হিসেবে নেওয়া বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরিত চেকের পাতা ও কয়েকটি  মূল সনদপত্র ও ভুয়া প্রশ্নপত্রের কপি দেখানো হয়। 

আটকদের মধ্যে সাত জন নারী ও ছয় জন পুুরুষ রয়েছেন। এদের মধ্যে আবার আট জন নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিলেন। 

এসপি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় প্রথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিয়ে একটি চক্র পরীক্ষার্থীদের থেকে ১০ লাখ টাকা নিচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের থেকে তাদের শিক্ষাগত সনদের মূলকপি ও বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরিত চেকের পাতা জামানত হিসেবে রেখে প্রশ্নপত্র ও উত্তরের কপি সরবরাহ করার কথা ছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল। তারা রামগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড নন্দনপুর এলাকার আমিরেন্নেছা ভবনের তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে মাহমুদুল হোসাইন ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে আটক করে। 

পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই বিল্ডিং হতে উত্তর সংবলিত কয়েক সেট ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ আরও ছয় নারীকে আটক করা হয়। তাদের প্রত্যেকেই অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী। পরে মাহমুদুল হোসাইন ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের তথ্যমতে সদরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জামাল উদ্দিন সবুজসহ  প্রতারক চক্রের আরও পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। 

এ সময় তাদের থেকে নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ও উত্তরের কপি, প্রবেশপত্র, স্বাক্ষর ও স্বাক্ষরবিহীন বিভিন্ন ব্যাংকের পাঁচটি চেকের পাতা, পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাগত মূলসনদ ও আটটি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়। আটক ১২ জনের বাড়ি রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এছাড়া আটক জামাল উদ্দিন সবুজ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভুতি গ্রামের বাসিন্দা।

আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।