ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত হ্রদ-পাহাড়ের শহর

ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটক বরণে প্রস্তুত হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় চেনা রূপে ফিরবে শহরের ট্যুরিস্ট স্পটগুলো; এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। অন্যদিকে পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত ট্যুরিস্ট পুলিশ।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, সাজেক ভ্যালি, পলওয়েল পার্ক ও হ্রদ ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন পর্যটকরা। হ্রদ ভ্রমণে পর্যাপ্ত ট্যুরিস্ট বোট প্রস্তুত রয়েছে। নতুন করে রঙ করা হচ্ছে বোটগুলো। টেক্সটাইল মার্কেটগুলোও তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন পর্যটনখাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই বলেন, ‘আমাদের প্রায় শতাধিক কটেজ আছে। বেশিরভাগই বুকিং হয়ে গেছে ঈদের ছুটিতে। করোনায় আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে ধীরে ধীরে তা কমে আসবে বলে মনে করছি। তবে করোনা সংক্রমণ কমে এলেও আমরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ করছি বুকিংয়ের সময়।’

বোট ঘাটের ব্যবস্থাপক রমজান আলী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেশিরভাগ বোট সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কেউ রঙ করেছেন, কে সিট বা সিটের গদি বদলে ফেলেছেন। অনেকেই লাইফ জ্যাকেট কিনছেন নতুন করে কিংবা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছেন।’

পলওয়েল পার্ক ও হ্রদ ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন পর্যটকরা

শহরের নতুন আবাসিক হোটেল স্কয়ার পার্কের স্বত্বাধিকারী নেয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমার হোটেলের মোট রুমের ৬৫টি চালু করেছি। এর মধ্যে প্রায় ৩০টি রুম বুকিং হয়ে গেছে। বাকিগুলোও দ্রুতই বুকিং হয়ে যাবে।’

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘আমার মোটেল-কটেজে ৮৮টি রুম আছে। এর মধ্যে ৪৪টি ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি, বাকিগুলোও এই সপ্তাহের মধ্যে বুকিং হয়ে যাবে। বছরের এই সময়টার জন্য আমরা এমনিতেই প্রস্তুত থাকি। এ বছরও ব্যতিক্রম হবে না।’

বেশিরভাগ কটেজ বুকিং হয়ে গেছে ঈদের ছুটিতে

রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঈদে রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটক আসবেন, এমনটাই ধরণা করছি আমরা। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’