পাসপোর্ট অফিসে চেয়ারে বসায় সেবাগ্রহীতাকে মারধর, তদন্তের নির্দেশ

কুমিল্লার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার চেয়ারে বসায় সেবা নিতে আসা তিন যুবককে মারধর ও সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় কুমিল্লা ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন এ আদেশ দেন। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের আদেশের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পাসপোর্ট অফিসে কর্মকর্তার চেয়ারে বসায় তিন সেবাগ্রহীতাকে মারধর করেছেন কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মো. নুরুল হুদা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদটি আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই সংবাদ সত্য হয়ে থাকলে কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল হুদা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। ওই সময়ে সংবাদকর্মী রাকিবুল ইসলাম রানা ও সাফিকে দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়েছেন তিনি। তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া আইনবিরোধী মর্মে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা আদালতের পেশকার খোরশেদ আলম বলেন, ‌‘সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্বাস উদ্দিন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের সময় ওই সংবাদকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতার করার জন্য বলা হয়েছে।’

র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি আমাদের কাছে এখনও আসেনি। কপি আসলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় কুমিল্লার পাসপোর্ট অফিসে তিন সেবাগ্রহীতাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে উপপরিচালক নুরুল হুদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে গেলে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের রিপোর্টার মো. সাফি ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ম্যাক নিউজের রাকিবুল ইসলাম রানাকে লাঞ্ছিত ও ভিডিও ধারণের সময় মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এই ঘটনা আদালতের দৃষ্টিতে আসে।